র‍্যাম (RAM): আসলে কী এবং কীভাবে কাজ করে?

আমরা সাধারণত “মেমোরি” বললেই হার্ডড্রাইভ বা ফোনের স্টোরেজ বুঝি। কিন্তু RAM একটু আলাদা জিনিস। এটা এক ধরনের বিশেষ মেমোরি, যা সবসময় “অস্থায়ী” আর “দ্রুতগতির” কাজের জন্য ব্যবহার হয়। RAM কী? RAM এর পূর্ণরূপ হলো Random Access Memory। এর মানে হলো— এর ভেতরে যেকোনো জায়গায় থাকা ডেটা মুহূর্তের মধ্যে অ্যাক্সেস করা যায়। “র‍্যান্ডম” কথাটা এসেছে এখান […] The post র‍্যাম (RAM): আসলে কী এবং কীভাবে কাজ করে? appeared first on Trickbd.com.

র‍্যাম (RAM): আসলে কী এবং কীভাবে কাজ করে?

আমরা সাধারণত “মেমোরি” বললেই হার্ডড্রাইভ বা ফোনের স্টোরেজ বুঝি। কিন্তু RAM একটু আলাদা জিনিস। এটা এক ধরনের বিশেষ মেমোরি, যা সবসময় “অস্থায়ী” আর “দ্রুতগতির” কাজের জন্য ব্যবহার হয়।

RAM কী?

RAM এর পূর্ণরূপ হলো Random Access Memory। এর মানে হলো— এর ভেতরে যেকোনো জায়গায় থাকা ডেটা মুহূর্তের মধ্যে অ্যাক্সেস করা যায়। “র‍্যান্ডম” কথাটা এসেছে এখান থেকেই।

RAM হলো একধরনের ভোলাটাইল মেমোরি।

ভোলাটাইল মানে হলো বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেই ডেটা টিকে থাকে। বিদ্যুৎ চলে গেলে বা ডিভাইস বন্ধ হলে RAM ফাঁকা হয়ে যায়।

RAM এর কাজ কীভাবে হয়?

ভাবুন আপনার কাছে একটা নোটবুক আছে যেখানে আপনি শুধুই কাজের সময় লিখছেন। কাজ শেষে সেটা মুছে আবার নতুন কিছু লিখে ফেললেন। RAM ঠিক সেরকমই—

1. যেকোনো সিস্টেম বা ডিভাইস কাজ করতে গেলে, প্রয়োজনীয় তথ্য খুব দ্রুত আনা-নেওয়ার দরকার হয়।

2. সেই দ্রুত অস্থায়ী জায়গাটা হলো RAM।

3. একে বলা যায় ডিভাইসের “ওয়ার্কিং এরিয়া”— সব হিসাবনিকাশ, ডেটা প্রসেসিং, সাময়িক সঞ্চয় এখানে হয়।

কেন RAM কে দ্রুত বলা হয়?

RAM এর ভেতরে থাকে লক্ষ লক্ষ ছোট ছোট ইলেকট্রনিক উপাদান— যেমন ট্রানজিস্টর আর ক্যাপাসিটার। এগুলো মিলে প্রতিটি ডেটা “বিট” আকারে ধরে রাখে।

ক্যাপাসিটার চার্জ ধরে রাখে (১ বা ০ নির্দেশ করে)।

ট্রানজিস্টর নিয়ন্ত্রণ করে কখন সেই চার্জ পড়া বা লেখা হবে।
এভাবে অসংখ্য সেল একসাথে কাজ করে বলে RAM এর গতি অনেক বেশি।

RAM এর ধরণ

1. DRAM (Dynamic RAM) – সবচেয়ে প্রচলিত। প্রতিটি সেলে থাকা ক্যাপাসিটার চার্জ ধরে রাখতে বারবার “রিফ্রেশ” করতে হয়।

2. SRAM (Static RAM) – অনেক দ্রুত, তবে দামি। এখানে ক্যাপাসিটার নয়, একাধিক ট্রানজিস্টর দিয়ে প্রতিটি বিট ধরে রাখা হয়, তাই রিফ্রেশের দরকার হয় না।

3. SDRAM (Synchronous DRAM) – সিস্টেমের ক্লকের সাথে মিল রেখে কাজ করে, তাই আরও দ্রুত সমন্বয় করতে পারে।

4. DDR SDRAM (Double Data Rate SDRAM) – আধুনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত, যা একই ক্লক সাইকেলে দুইবার ডেটা আদানপ্রদান করতে পারে।

RAM এর সীমাবদ্ধতা:

ডেটা স্থায়ীভাবে রাখা যায় না।

বিদ্যুৎ ছাড়া সব মুছে যায়।

আকার সীমিত— যত বড় RAM হবে, তত বেশি ডেটা সাময়িকভাবে রাখা সম্ভব।

কেন RAM গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ যে কোনো ডিভাইসে “মুহূর্তের কাজ” সব RAM এর উপর নির্ভর করে। যত দ্রুত RAM কাজ করবে, তত দ্রুত ডিভাইসও তার কাজ করতে পারবে।

The post র‍্যাম (RAM): আসলে কী এবং কীভাবে কাজ করে? appeared first on Trickbd.com.

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow