ডেভিড গগিন্সের মতন মানসিক শক্তিশালী হয়ে উঠুন। আপনার মনের শক্তি আপনার ভবিষ্যৎ গড়বে

আচ্ছা একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কিছু মানুষ চাপের মধ্যেও দারুণভাবে টিকে থাকে আর কিছু মানুষ সামান্য কিছু হলেই ভেঙে পড়ে। কেন এমন হয় জানেন এর কারণ কোন জাদু বা ভাগ্য নয় এর আসল রহস্য হলো মানসিক শক্তি। আর শক্তিটা বেশিরভাগ মানুষ এই শক্তিটা তৈরি করে না তারা সারাজীবন কষ্ট থেকে পালায় আরামের খোঁজে। নিজেদেরকে সব […] The post ডেভিড গগিন্সের মতন মানসিক শক্তিশালী হয়ে উঠুন। আপনার মনের শক্তি আপনার ভবিষ্যৎ গড়বে appeared first on Trickbd.com.

ডেভিড গগিন্সের মতন মানসিক শক্তিশালী হয়ে উঠুন। আপনার মনের শক্তি আপনার ভবিষ্যৎ গড়বে

আচ্ছা একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কিছু মানুষ চাপের মধ্যেও দারুণভাবে টিকে থাকে আর কিছু মানুষ সামান্য কিছু হলেই ভেঙে পড়ে। কেন এমন হয় জানেন এর কারণ কোন জাদু বা ভাগ্য নয় এর আসল রহস্য হলো মানসিক শক্তি। আর শক্তিটা বেশিরভাগ মানুষ এই শক্তিটা তৈরি করে না তারা সারাজীবন কষ্ট থেকে পালায় আরামের খোঁজে। নিজেদেরকে সব সময় ব্যস্ত রাখে তারপর তারা অবাক হয়ে ভাবে কেন সবকিছু আমার কাছে এত কঠিন লাগে। কিন্তু এই আর্টিকেল পড়ার পর আপনি এমনটি করবেন না। কারণ আপনি আর্টিকেলটি পড়ার মধ্যমে আপনি এমন কিছু টিপস জানতে পারবেন যা আপনাকে মানসিকভাবে সুপার স্ট্রং করে তুলবে। কোন অজুহাত নয়, কোন দ্বিধা নয়, শুধুমাত্র আপনার ভেতরের একটা শক্তি। আপনি যদি নিজের মনকে আরো শক্তিশালী করতে এবং নিজেকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে চলুন শুরু করি।

মেন্টাল শিফট। কোথা থেকে শুরু করতে হবে জানেন? আপনাকে একটা সহজ জীবন পাওয়ার ইচ্ছা বাদ দিতে হবে। তার বদলে একটা শক্তিশালী জীবনের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। বেশিরভাগ মানুষভাবে সমস্যা এড়িয়ে চললেই বুঝি শক্তি পাওয়া যায় কিন্তু এটা ভুল সত্যিকারের মানসিক দৃঢ়তা তৈরি হয় কষ্টের মধ্য দিয়ে ব্যর্থতা কষ্ট আর কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। আপনার মনকে একটা পেশির মত ভাবুন যদি আপনি এটাকে চাপ না দেন তাহলে এটা দুর্বলই থাকবে। আপনি যদি সবসময় আপনার কমফর্ট জোনে থাকেন আর যখন জীবনে কঠিন মুহূর্ত আসবে সেটা আসবেই তখন আপনি ভেঙে পড়বেন। সুতরাং মানসিকতাটা এমনভাবে পরিবর্তন করুন প্রতিটা চ্যালেঞ্জ আপনার জীবন আরো শক্তিশালী করার জন্য একটা সুযোগ। প্রতিটা ব্যর্থতা, প্রতিটা প্রত্যাখ্যান, প্রতিটা রাত জেগে কাজ করা এগুলো কোন শাস্তি নয়। এগুলো আপনাকে আরো শক্তিশালী, আরো স্মার্ট এবং আরো ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ করে দেয়।

যখন আপনি এই বিষয়টাকে মন থেকে মেনে নিবেন তখন একটা দারুণ ঘটনা ঘটবে। জীবন আপনাকে ভাঙ্গা বন্ধ করবে আর আপনাকে আরো বেশি শক্তিশালী করা শুরু করবে। কিভাবে কষ্ট থেকে শক্তি তৈরি হয়। চলুন এমন একজনের গল্প বলি যাকে আমাদের জানা দরকার। David Goggins এই লোক জন্ম থেকেই মানসিকভাবে স্ট্রং ছিল না। সে ছিল মোটা ডিপ্রেসড আর পোকামোকর খেয়ে পেট চালাতো। সে জীবনকে অনেক ঘৃণা করত। একদিন সে নেভি সিলের উপর একটা ডকুমেন্টারি দেখে। আর সেটা দেখে তার ভেতরে কিছু একটা পরিবর্তন হয়। সে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিল যা বেশিরভাগ মানুষ নিজের সাহসও করবে না।

সিল প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য হতে হলে তাকে তিন মাসে প্রায় 45 কেজি ওজন বেশি কমাতে হবে। সে এটা করে দেখিয়েছিল। সে প্রতিদিন ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠতো। মাইলের পর মাইল দৌড়াইতো। আর শরীর ব্যথা না হওয়া পর্যন্ত সে ব্যায়াম করতে থাকতো। তার কষ্ট হতো। হ্যাঁ হতো। কিন্তু সে হাল ছেড়ে দেয়নি। সে কি হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছিল? রোজেই চাইতো কিন্তু সে হাল ছাড়েনি। কারণ সে একটা জিনিস বুঝেছিল মানসিক গৃহতা তখনই তৈরি হয় যখন আপনি সেই সীমাটা পার করেন। যেখানে বেশিরভাগ মানুষই হাল ছেড়ে দেয়। গগিন্স এখন পৃথিবীর অন্যতম সেরা ম্যারাথন রানার।

বিশ্ব রেকর্ড, সিল প্রশিক্ষণ, কঠিন আল্ট্রা ম্যারাথন এগুলো প্রমাণ করে যে আমাদের মন আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। সত্যিটা হলো আপনার সব সীমাবদ্ধতা আপনার মনের ভেতরে আছে। আর আপনি চাইলেই সেগুলোকে ভেঙে দিতে পারেন। এই তিনটি অভ্যাস এখনই ছাড়ুন যা আপনাকে দুর্বল করে রাখে। মানসিকভাবে সুপার স্ট্রং হতে চান, তাহলে কিছু খারাপ অভ্যাস আপনাকে এখন থেকে বাদ দিতে হবে। প্রথমত অভিযোগ করা বন্ধ করতে হবে। যখন আপনি অভিযোগ করেন আপনি নিজের শক্তিকে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন। অভিযোগ করে কোন সমস্যার সমাধান হয় না।

উল্টো আপনি আরো খারাপ অনুভব করেন। হয় সমস্যা ঠিক করুন নয়তো তা মেনে নিয়ে এগিয়ে যান। দ্বিতীয়ত আরামের পেছনে ছোঁটা বন্ধ করুন। উন্নতি কখনো আরাম থেকে হয় না। আপনি যদি আরো শক্তিশালী হতে চান, তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে আরামের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসুন এবং এমন কিছু করুন যা আপনাকে ভয় দেখায় যা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে। তৃতীয়তঃ অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন। অজুহাত হলো এমন মিথ্যা যা আমরা নিজেদেরই বলি এইরকম থাকার জন্য। আপনি হয় একটা উপায় বের করবেন নয়তো একটা অজুহাত। আর এই দুটো জিনিস কখনো একসাথে হয় না।

The Best Preparation For tomorrow Is Doing Your Best Today written on a paper. With blurred styled background.

মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রতিদিনের রুটিন তৈরি করতে হবে। আপনাকে কেউ বলবে না যে মানসিক দৃঢ়তা জন্মগতভাবে হয়ে আসে। এটা প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যাসের মাধ্যমেই তৈরি হয়। যেমনঃ ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল। নিজের দিনটা একটু অস্বস্তিকরের মধ্য দিয়ে শুরু করুন। ঠান্ডা জল দিয়ে গোসল আপনার মস্তিষ্ককে এমন জিনিসগুলোর মুখোমুখি হতে শেখায় যা আপনাকে ভালো লাগে না। আর এ অভ্যাসগুলো সবকিছুতে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যায়াম। আপনার মন আর শরীর একসাথে কাজ করে। যখন আপনি শারীরিক প্রশিক্ষণ দেন আপনার মন আরো তীঘ্ন হয়। শক্তিশালী শরীর মানেই শক্তিশালী মন। প্রতিদিন একটা কঠিন কাজ দিয়ে শুরু করুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন। সেই কঠিন কাজটা শুরু করুন। কারো সাথে যদি কঠিন আলোচনা করতে হয় সে কঠিন আলোচনাটি সকালবেলায় সেরে ফেলুন। প্রতিদিন কঠিন কাজ করে আপনার মস্তিষ্ককে কঠিন কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে দিন।

আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা। এখানে একটা গোপন কথা আছে যা বেশিরভাগ মানুষ কখনো শেখে না। হয় আপনি আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করবেন নয়তো আবেগ আপনাকে উল্টো নিয়ন্ত্রণ করবে। যখন জীবন আপনার দিকে বিশৃঙ্খলা ছুড়ে দেবে তখন আপনার কাছে দুইটি পথ খোলা থাকবে। হয় আবেগের বসে প্রতিক্রিয়া দেখান। নয়তো শান্তভাবে সারাদিন। মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষ যেন ভেঙে পড়ে না। তারা আতঙ্কিত হয় না। তার একটা ছোট্ট বিরতি নেয়। শান্ত থাকুন এবং নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকুন। ব্যর্থতাকে দেখার অ্যাটিটিউড পরিবর্তন করুন। বেশিরভাগ মানুষ ব্যর্থতা থেকে এভাবে পালায় যেন এটা একটা ছোঁয়া ছেড়টক। কিন্তু ব্যর্থতা কোন শেষ নয়। এটা একটা নতুন শুরু। আপনি যে সকল মানুষগুলোকে চেনেন তার বেশিরভাগ মানুষই চেষ্টার চেয়েও বেশি বার ব্যর্থ হয়েছেন।

মাইকেল জর্ডানকে তার হাই স্কুল বাস্কেটবল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্টিভ জবসকে তার নিজের কোম্পানি থেকেই বের করে দেওয়া হয়েছিল। তারা হাল ছাড়েনি। তারা শিখেছেন নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছেন এবং আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছেন। ব্যর্থতা হলো সাফল্যের সিরি কোন শেষ নয়। সুতরাং পরেরবার যখন আপনি ব্যর্থ হবেন তখন হাসুন। এর মানে আপনি এখনো গেমের মধ্যেই আছেন। এর মানে আপনি উন্নতি করছেন। একটা স্ট্রং মাইন্ডসেট তৈরি করুন। জীবন আপনাকে বারবার পরীক্ষা করবে। প্রিয়জনের মৃত্যু, প্রত্যাখ্যান, বিশ্বাসঘাতকতা, মন ভাঙ্গা এ সবকিছু জীবনে আপনার আসবে। কিন্তু যারা শক্তিশালী তারা ভেঙে পড়ে না। তারা শান্ত থাকে, মনোযোগ দিয়ে থাকে এবং আবেগ দিয়ে নয় বরং বুদ্ধি দিয়ে তারা সাড়া দেয়। তারা এই কথাটা বিশ্বাস করে। আমি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কিন্তু আমি কিভাবে সাড়া দেব তা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষগুলো কখনোই নিজেকে ভিকটিম ভাবে না। তারা জিজ্ঞেস করে না কেন এটা আমার সাথে ঘটছে। বরং তারা জিজ্ঞেস করে এখন আমি কি করতে পারি? ডিসিপ্লিন বনাম মোটিভেশন। একটা সত্যি কথা বলি। আপনি যদি শুধু মোটিভেশনের উপর নির্ভর করেন তাহলে এটা কোন কাজেই আসবে না। একদিন আপনি খুব মোটিভেটেড থাকেন পরের দিনে আবার কোন কিছুই করতে ইচ্ছা করবে না। আপনি যখন অনুপ্রাণিত হন তখন কাজ করেন। তাহলে আপনি ধারাবাহিক হতে পারবেন না। আর ধারাবাহিকতা না থাকলে কোন উন্নতি হয় না। এজন্য ডিসিপ্লিন মোটিভেশনের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধু লক্ষ্য নয় একটা সিস্টেম তৈরি করুন। শুধু ফিট হওয়ার স্বপ্ন দেখবেন না। প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন। শুধু সাফল্যের স্বপ্ন দেখবেন না বরং একটা সিস্টেম তৈরি করুন যা আপনাকে সফল হতে সহযোগিতা করবে। প্রতিদিনের এই ছোট ছোট কাজগুলোই আপনার জীবন বদলে দেবে। আর সেজন্য এখনই আপনার সময় সে সময়কে কাজে লাগান। সত্যিটা হলো মানসিকভাবে সুপার স্ট্রং হতে আপনার যা কিছু প্রয়োজন তা ইতিমধ্যে আপনার ভেতরেই আছে।

কিন্তু যদি আপনি এখনই কাজ না করেন তাহলে এর কোন মূল্য নাই। আপনার কাছে এখন দুইটা পথ খোলা আছে। প্রথম পথ হচ্ছে এই আর্টিকেল পড়া এখনি বন্ধ করে দিন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে থাকুন বা গেমস খেলুন।আপনি আবার আরামের জায়গায় ফিরে যান। আর অজুহাতের পেছনে ফিরে যান। আর দ্বিতীয় পথ হচ্ছে পরিবর্তন হওয়ার, বড় হওয়ার এবং আপনার নিজের সবচেয়ে শক্তিশালী রূপে নিজেকে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিন। পৃথিবী অপেক্ষা করছে না। আপনার ভবিষ্যতের বেস্ট ভার্সন আপনার জন্য অপেক্ষা করছে না। সুতরাং আপনিও অপেক্ষা করবেন না।

The post ডেভিড গগিন্সের মতন মানসিক শক্তিশালী হয়ে উঠুন। আপনার মনের শক্তি আপনার ভবিষ্যৎ গড়বে appeared first on Trickbd.com.

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow